মন খারাপের মধ্য দিয়ে সর্বপ্রথম জৌলুসহীন মহরম

আউটলাইন বাংলা: করোনা মহামারি ইতিহাসে সর্ব প্রথম জৌলুস হীন মহরম দেশ তথা পশ্চিমবঙ্গের সর্বত্রই। আরবি বছরের প্রথম মাসের ১০ তারিখ এ মহরম পালন করা হয়। মহরমে মুসলিম ধর্মাম্বালিরা দুই দিন সিয়াম সাধনার মাধ্যমে এই দিনটিকে পালন করে থাকেন। মহরমের আগের দিন কে বলা হয় কাতল রাত্রি সেই দিন থেকেই সিয়াম সাধনা অর্থাৎ রোজা রেখে দিনটি কে পালন করা হয়।

কিন্তু এই করোনা মহামারীর জেরে দেশ জুড়ে বেড়েই চলেছে আক্রান্তের সংখ্যা। তাই এই বারের মহরম কার্যত ফ্যাকাশে জোলুসহীন। দেশজুড়ে যেভাবে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ঊর্ধ্বমুখী, তাই সুপ্রিম কোর্ট এর নির্দেশ কোথাও জমায়েত করা যাবে না। এই নির্দেশ কে মান্যতা দিয়ে এই বছর জমায়েত করে মহরম বের করছে না কমিটি গুলি। শুধু মাত্র রীতি মেনে পালন করা হচ্ছে দিনটি।

পশ্চিমবঙ্গ তথা বীরভূমের জেলার সব থেকে বড় গ্রাম মাড়গ্রাম, যেখানে জন সংখ্যা প্রায় ৭০,০০০ ছুঁই ছুঁই। মাড়গ্রামে ঐতিহ্যবাহী মহরম কে কেন্দ্র করে পাশ্ববর্তী গ্রাম থেকে মানুষের ঢল নামত বিগত বছর গুলি তে। মাড়গ্রাম এর মহরমে লাইসেন্স প্রাপ্ত দল ২২ টি। যে ২২ টি দলের কেউ কেউ লাঠি খেলা, আবার কেউ তাজিয়া মুর্সিয়া দেখার জন্য মাড়গ্রাম এর বুড়ো পীর তলাতে তে নামত মানুষের ঢল।

যেখানে বিগত বছর গুলি তে মাড়গ্রাম প্রশাসনের পক্ষ থেকে মহরমের প্রথম দ্বিতীয়, তৃতীয় দলকে পুরষ্কৃত করা হতো। ধর্ম বর্ণ নির্বিশেষে সকলেই জমায়েত করতেন এই মাড়গ্রাম বুড়োপীর তলা প্রাঙ্গণে। কিন্তু এই বছর করোনা মহামারী সচেতনতার জন্য প্রশাসনের পক্ষ থেকে বুড়ো পীরতলা প্রাঙ্গণে বাঁশ দিয়ে ঘিরে দেওয়া হয়েছে। যাতে কেউ জমায়েত করতে না পারেন।

এই বছর বুড়ো পীর তলা প্রাঙ্গণ কার্যত ফাঁকা, জৌলুস হীন। মন খারাপের মধ্যে দিয়ে আবার কোথাও যেনো একটা মন খারাপ সকলের মধ্যে, কেউ কেউ বলছেন ছোটো থেকে দেখে আসছি মহরম, এই রকম কোনো বছর হয়নি ও দেখিনি। মাড়গ্রামে মহরম তাজিয়া, মুশিয়া, লাঠি খেলার মধ্যে দিয়ে প্রতিটা মানুষের বাড়ি তে আসতো আত্মীয়ের ঢল। কিন্তু এবার সেটা নেই কোথাও যেনো একটা ফাঁকা ফাঁকা।

— রিন্টু পাঁজা,বীরভূম

সম্পর্কিত পোস্টগুলি

আমাদের ফলো করুন

3,919FansLike
42SubscribersSubscribe

না পড়লেই মিস