Outlinebangla: আপনার পাশের ব্যক্তি দাঁড়িয়ে থাকা অবস্থায় হঠাৎ অজ্ঞান হয়ে পড়ে গেল। সামনে থেকেও আপনি কিংকর্তব্যবিমূঢ়। আপনি বুঝে উঠতে পারছেন না কি করবেন চকিৎসকের কাছে নিয়ে যাবেন নাকি হাসপাতালে নিয়ে যাবেন। এমত অবস্থায় অনেকে ওই রোগীর মাথায় জল ঢালে আবার পাশাপাশি মানুষের মুখ থেকে নানান জীবনদায়ী টোটকা শুনতে পাওয়া যায়। তবে এই সব কিছু করার জন্য আদতে কিন্তু মূল্যবান সময় নষ্ট হয়ে যায়।
সকলেরই জানা উচিত হৃৎস্পন্দনজনিত সমস্যায় হৃৎপিণ্ডের কার্যকারিতা হঠাৎ বন্ধ হয়ে যেতে পারে। ফলস্বরূপ মস্তিষ্কে রক্তপ্রবাহ বন্ধ হয়ে গিয়ে রোগী অজ্ঞান হয়ে পড়ে। এমন অবস্থায় রোগীর মৃত্যু পর্যন্ত হতে পারে। এই কঠিন মুহূর্তে চিকিৎসকের কাছে নিয়ে যাওয়ার আগে বিশেষ কিছু প্রশিক্ষণের মাধ্যমে শ্বাস প্রশ্বাসের কাজ চালিয়ে নেওয়া গেলে রোগীকে বাঁচিয়ে রাখা সম্ভব। যে উপায়ে রোগীর ফুসফুস ও হৃৎযন্ত্রের কাজ সাময়িকভাবে চালু রাখা হয়, তাই হচ্ছে কার্ডিও পালমোনারি রিসাসিটেশন বা সিপিআর।
আরও পড়ুনঃ Symptoms of Cancer: অবহেলা নয়! এই উপসর্গ গুলিই ক্যান্সারের প্রাথমিক লক্ষণ হতে পারে
CPR Saves Lives
অজ্ঞান হয়ে পরা ব্যক্তিকে জোরে ঝাঁকুনি দিয়ে ডাকতে হবে দেখতে হবে জ্ঞান আছে কিনা। দেখতে হবে রোগীর শ্বাসপ্রশ্বাস চলছে কি না, হৃৎস্পন্দন আছে কি না। তারপর জামা কাপড় আলগা করে দিতে হবে। চিকিৎসক ও অ্যাম্বুলেন্সের ব্যবস্থা করার পাশাপাশি সিপিআর চালু করতে হবে।
সিপিআরের মূল কাজটা হোলো হৃৎপিণ্ডের ওপরে নির্দিষ্ট সময় অন্তর চাপ দেওয়া, সেই সঙ্গে রোগীর মুখে বাতাস প্রবেশ করিয়ে শ্বাসপ্রশ্বাস স্বাভাবিক রাখা। রোগীর বুকের ঠিক মাঝবরাবর এক হাতের তালুর ওপরে আরেক হাতের তালু রেখে দুই হাতই একদম সোজা রেখে বুকের ওপর চাপ দিন। এমনভাবে চাপ দিতে হবে যাতে বুক ২ থেকে ২.৫ ইঞ্চি দেবে যায়। চাপের সংখ্যাটা হবে মিনিটে প্রায় ১০০। চাপ দেওয়ার পর রোগীর মুখ ওপর দিকে তুলে এক হাতে নাক চেপে ধরে, রোগীর মুখের সঙ্গে নিজের মুখ লাগিয়ে জোরে জোরে বাতাস প্রবেশ করাতে হবে। এই পদ্ধতি ততক্ষণ জারি রাখতে হবে যতক্ষণ পর্যন্ত চিকিৎসক বা অ্যাম্বুলেন্স না আসে। এই জরুরি সেবার মাধ্যমে আপনি অবশ্যই এক জন রোগীর প্রাণ বাঁচাতে সক্ষম হবেন।
আরও পড়ুনঃ Healthy Summer Diet Plan: তীব্র গরমে শরীরকে সুপার Cool রাখতে ভরসা রাখুন এই সব খাবারে