আউটলাইন বাংলা ডিজিটাল ডেস্কঃ শতাব্দীর সেরা ফুটবলার দিয়েগো আর্মান্দো মারাদোনা (Diego Maradona) আজও সুপারস্টার। সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ ফুটবলার, ফুটবলের দুনিয়ায় এমন চরিত্র উদয় খুবই কম হয়েছে। কিন্তু তাঁর জীবন জুড়ে শুধুই কি সাফল্য! ঠিক তা না তাঁর জীবনেও রয়েছে ব্যর্থতা ও বিতর্ক। সাড়ে ৫ ফুট উচ্চতার লোকটা, আর্জেন্তিনার রাজধানী বুয়েনস আইরেসের এক শ্রমিক পরিবারের পঞ্চম সন্তান। ১৯৬০ সালের ৩০ অক্টোবর জন্মগ্রহন করে মারাদোনা। শৈশব থেকেই তাঁর পায়ে ফুটবল চৌম্বকের মতন আটকে থাকতো। মাত্র ১০ বছর বয়সে তাঁর আসাধারন প্রতিভার জন্য ক্লাব আর্জেন্টিনোস জুনিয়র্সে স্থান পেয়ে যান। এবং ১৬ বছর বয়সে তিনি সিনিয়র দলে স্থান পেয়ে যান, এবং ১৬ বছর বয়সেই তিনি খেলেছিলেন প্রিমিয়র ডিভিশন।
দিয়েগো আর্মান্দো মারাদোনা (Diego Maradona) মোট পাঁচটি ক্লাবে খেলেছেন, আর্জেন্টেনীয় জুনিয়র্স(১৯৭৬-১৯৮১), বোকা জুনিয়ার্স(১৯৮১-৮২)(১৯৯৫-৯৭), বার্সেলোনা (১৯৮২-৮৪), নাপোলি(১৯৮৪-৯১০), নিউ ওয়েলস ওল্ড বয়েজ(১৯৯৩-৯৪)।
সালটা ১৯৮৬ বিশ্বকাপে প্রতিপক্ষ ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে দুটো গোল করে জয় ছিনিয়ে নিয়েছিলেন মারাদোনা (Maradona)। এক কথায় বলা চলে ওই বছরটি মারাদোনার জন্য সোনায় মোড়া বছর ছিল। বিশ্বকাপের কোয়ার্টার ফাইনালে ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে তিনি হাত দিয়ে গোল করেছিলেন, আর এখান থেকেই শুরু হয় বিতর্কের। এই বিতর্কিত গোলের পরই ফুটবলবিশ্বে ‘হ্যান্ড অফ গড’ নামে পরিচিত হন তিনি। এবং তিনি ওই বছরেই সোনার বুট পান।
সালটা ১৯৯১, যখন খ্যাতির চূড়ান্ত সীমায় পৌঁছেছিলেন, ঠিক সেই সময়ই তাঁর দিকে ধেয়ে এসেছিল বিতর্ক। ১৯৯১ সালে নাপোলিতে খেলার সময় কোকেইন নেওয়ার অপরাধে দিয়েগো মারাদোনার (Diego Maradona) ১৫ মাসের জন্য ফুটবল থেকে নির্বাসিত হন।
এছাড়াও একবার মারাদোনার ব্যক্তি জীবনে তথ্য নেওয়ার জন্য এক সাংবাদিককে লক্ষ্য করে এয়ারগান শ্যুট করেন তিনি। এই ঘটনার সাথে সাথে জুড়ে যায় কর ফাঁকির অপরাধ। এ-কারনে ২ বছর ১০ মাসের জেল হেফাজত হয় দিয়েগো মারাদোনার (Diego Maradona)। কোচ হিসাবে মারাদোনাকে ব্যর্থতার ঝুলি বইতে হয়েছে। তবে সব ব্যর্থতা, বিতর্ক ছাড়িয়েও মারাদোনা আজও বিশ্ববাসীর চোখে ফুটবল রাজপুত্র, বিংশ শতাব্দীর আলোড়ন ফেলে দেওয়া ফুটবলার দিয়েগো আর্মান্দো মারাদোনার মৃত্যুতে শোকে পাথর গোটা দুনিয়া।