Outlinebangla Desk: করোনা পরিস্থিতিতে রাজ্যজুড়ে স্বাস্থ্য ক্ষেত্রে অনেক পরিবর্তন হয়েছে। কিন্তু মহামারী পরিস্থিতিতে দেখা গেছে প্রয়োজনের তুলনায় বাংলায় চিকিৎসকের সংখ্যা কম। এই প্রেক্ষিতে রাজ্যের ছ’টি জেলায় ছ’টি মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল গড়ার প্রস্তুতি শুরু করেছে রাজ্য সরকার। এখন রাজ্যে প্রতিবছর ৩৪০০ জন চিকিৎসক পাশ করে বেরোন। আগামী পাঁচ বছরে সেই সংখ্যা অনেকটাই বাড়বে বলে আশা করা যায়।
এর আগেই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রাজ্যে বেশি করে ডাক্তার-ইঞ্জিনিয়ার গড়ে তোলার জন্য প্রয়োজনীয় সব ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছিলেন । নবান্ন সূত্রে খবর, যে ছ’টি জেলায় ইতিমধ্যে কাজ শুরু হয়েছে সেগুলি হল,হুগলির আরামবাগ, হাওড়ার উলুবেড়িয়া, উত্তর ২৪ পরগনার বারাসত, পূর্ব মেদিনীপুরের তমলুক, ঝাড়গ্রাম এবং জলপাইগুড়ি। প্রথমে প্রতিটি নতুন মেডিক্যাল কলেজ ১০০টি করে আসন নিয়ে শুরু হবে। পরে সেই আসন বাড়ানো হবে। হাসপাতাল তৈরির প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা দ্রুত নেওয়ার কথা বলা হয়েছে। যাতে ছ’টির মধ্যে অন্তত তিনটিতে সামনের বছর থেকে পঠনপাঠনের কাজ শুরু করা সম্ভব হয়। সেক্ষেত্রে নিট-এ সামনের বছর কয়েকশো আসন বাড়ার সম্ভাবনা।
প্রশাসনিক কর্তাদের মতে, নতুন মেডিক্যাল কলেজ তৈরিতে কেন্দ্রের অনুমতির প্রয়োজন। কেন্দ্রের অফিসাররা পরিকাঠামো এবং সম্ভাবনা খতিয়ে দেখে তবে প্রস্তাবিত মেডিক্যাল কলেজ তৈরির ছাড়পত্র দেয়। এ ক্ষেত্রে সেই ছাড়পত্র পেতে সমস্যা হবে না। একটি মেডিক্যাল কলেজ গড়তে আনুমানিক ৩০০ কোটি টাকা করে খরচ হয়। এই ব্যয়ের ৬০ ভাগ দেয় কেন্দ্র, বাকি ৪০ ভাগ খরচ রাজ্যের। ফলে মেডিক্যাল কলেজ তৈরিতে অর্থের অভাবও হবে না।
এক প্রশাসনিক কর্তা বলেছেন, “নতুন মেডিক্যাল কলেজ যে-সব জায়গায় তৈরি হচ্ছে, সেখানে হয় সুপার স্পেশালিটি হাসপাতাল অথবা জেলা হাসপাতাল রয়েছে। কোনও কোনও জায়গায় দু’টিরই সুবিধা পাওয়া যাবে। কারণ, পড়াশোনা এবং ইন্টার্নশিপের জন্য সেই ধরনের পরিকাঠামো প্রয়োজন হয়। সেই সঙ্গে দরকার অ্যাকাডেমিক ভবন, হস্টেলের সুবিধা ইত্যাদি। প্রস্তাবিত ছ’টি মেডিক্যাল কলেজের ক্ষেত্রে সেগুলি প্রস্তুত করতে বেশি সময় লাগবে না। সে-দিক থেকে দেখতে গেলে আরামবাগ এবং জলপাইগুড়ির পরিকাঠামো প্রায় প্রস্তুত রয়েছে।”