নিজস্ব প্রতিবেদনঃ বীরভূমঃ 16 দফা দাবি নিয়ে স্মারকলিপি ও বিক্ষোভ কর্মসূচি দেখালো আদিবাসী গাঁওতার সদস্যরা। এদিন বিভিন্ন দাবিগুলি নিয়ে বীরভূম জেলার মহম্মদ বাজার থানায় প্রায় 2000 আদিবাসী মানুষ জন উপস্থিত হয়েছিলেন। মুলত তাদের দাবি গুলি হল ” আদিবাসী সমাজের মহিলাদের নিরাপত্তা ব্যবস্থা সুরক্ষিত করতে হবে, ইতিমধ্যেই ডেউচা পাচামি এলাকায় এশিয়ার বৃহত্তম কয়লা শিল্পাঞ্চল এর জন্য প্রশাসনিক কাজকর্ম শুরু হয়েছে, ওই এলাকার মানুষদের সঙ্গে বৈঠকে বসেন রাজ্যের মুখ্যসচিব। এলাকার বসবাসকারী, আন্দোলনকারীদের দাবি ওই এলাকায় একটি বৃহৎ সংখ্যক আদিবাসীরা বসবাস করেন, আন্দোলনকারীদের দাবি সেই সমস্ত মানুষকে বঞ্চিত করে খোলা মুখ কয়লা খনি করা যাবে না, ওই এলাকার মানুষদের সঙ্গে আলোচনা নিয়ে প্রশাসনকে সরাসরি তাদের সঙ্গে বসতে হবে।
এলাকার আদিবাসী অধ্যুষিত মানুষদের মনোন্নয়ন করতে হবে এছাড়াও আদিবাসী সমাজের ছাত্র-ছাত্রীদের আর্থিক সহায়তা এবং স্থানীয় গিরিজোর সাঁওতালি উচ্চ বিদ্যালয় সাঁওতালি ভাষায় পড়ানোর সুবন্দোবস্ত ও আদিবাসী এলাকায় সমস্ত রাস্তাঘাট পরিকাঠামো উন্নয়ন করতে হবে। এই সমস্ত দাবি নিয়ে এই দিন তারা বিক্ষোভ দেখালেন আদিবাসী গাঁওতার সদস্যরা বীরভূম জেলা আদিবাসী উন্নয়ন গাঁওতা সম্পাদক সুনীল সোরেন জানান,”16 দফা দাবি নিয়ে মোহাম্মদ বাজার থানা এলাকায় বসবাসকারী আদিবাসী দের বিভিন্ন দাবি-দাওয়া নিয়ে আমরা এসেছিলাম, তার মধ্যে অন্যতম ছিল পুলিশি জুলুম, নির্যাতন।
উচ্চপদস্থ আধিকারিকদের মধ্যস্থতায় এই আলোচনা হয়েছে আমরা আমাদের অভিযোগ এবং স্মারকলিপি লিখিত আকারে আমরা জানিয়েছি। ডেউচা পাচামি তে যে কয়লা খনির একটা কথা উঠেছে, সেই নিয়ে আদিবাসী মানুষেরা আতঙ্কিত আমরা চাইছি এইটা নিয়ে সাধারণ মানুষদের সঙ্গে প্রশাসন একটা খোলামেলা আলোচনা হোক। যাতে মানুষের মধ্যে যে দ্বিধাদ্বন্দ্ব আশঙ্কা রয়েছে সেটা নিরাশ হোক। আমাদের সমস্ত দাবি প্রশাসন বিবেচনা করার আশ্বাস দিয়েছেন।